পথের শিশু কোল পায় না, ধেড়ে মেয়ের টেডির বায়না

 পথের শিশু কোল পায় না, ধেড়ে মেয়ের টেডির বায়না

রাত গভীর হলে শহরের আলো ঝলমল করে। 
বিলাসিতার পরত চাপা পড়ে না, বরং আরও স্পষ্ট হয়, যখন ফুটপাথে শুয়ে থাকা শিশুটার চোখে ঘুম আসে না। 
মায়ের কোল নেই, উষ্ণতা নেই, শুধু এক চিলতে পুরোনো চাদর জড়িয়ে সে শুয়ে থাকে ধুলো মাখা রাস্তায়। ক্ষুধায় পেট চোঁচোঁ করে, কিন্তু কান্নার শক্তিটাও যেন ফুরিয়ে গেছে তার।
ওপাশে বড়লোকের বাড়ির জানালা দিয়ে উঁকি দেয় অন্য এক জীবন। 
ধেড়ে মেয়েটি কাঁদছে, কারণ সে আজই টেডি চাই। 
দামি খেলনা, নরম তুলতুলে, তার শোবার ঘরের এক কোণে সাজিয়ে রাখার জন্য। 
বাবা-মায়ের মুখে বিরক্তি, কিন্তু আদরের মেয়ের দাবি ফেলতে পারে না কেউ। 
গাড়ির দরজা খুলে, ঝলমলে শপিং মলের দিকে যাত্রা শুরু হয়।

ফুটপাথের শিশুটি দেখেও দেখে না। তার কোনো বায়না নেই, কোনো দাবি নেই। 
সে জানে, এসব তার জন্য নয়। তার জন্য বরাদ্দ শুধুই বঞ্চনা।
 শৈশব কি তবে শুধুই ধনীদের জন্য? মা-বাবার আদর কি তবে টাকার সঙ্গে মাপে?
সমাজ নির্বিকার। কেউ ভাবে না, কেউ শোনে না।
 টেডির অভাবে মেয়েটির চোখে জল আসে, আর এক মুঠো খাবারের অভাবে পথশিশুর চোখের জল শুকিয়েও যায়। পার্থক্য কত নির্মম!
তবে কি এই ব্যবধান কখনো কমবে না? 
একদিন কি সব শিশুই পাবে ভালোবাসা, উষ্ণ কোল, আর একটু সুখ? 
না কি পথের শিশুরা কেবলই অদৃশ্য থেকে যাবে শহরের জমকালো অন্ধকারে?
সত্যি, জীবন বড় অদ্ভুত!            
 কলমে : ধার্মিক

Discover more from DHARMIK (ধার্মিক)

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top

Discover more from DHARMIK (ধার্মিক)

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading