।। তুমি কি আমার হবে?।।
।। তুমি কি আমার হবে?।। তুমি কি আমার একাকিত্বের সঙ্গী হবে? যখন রাত গভীর হবে, নক্ষত্ররা নিঃশব্দে আমার জানালার পাশে […]
।। তুমি কি আমার হবে?।। তুমি কি আমার একাকিত্বের সঙ্গী হবে? যখন রাত গভীর হবে, নক্ষত্ররা নিঃশব্দে আমার জানালার পাশে […]
মুখস্থবিদ্যার চোরাবালি মুখস্থ করে পাস করাই তো চৌর্যবৃত্তি! একজন লুকিয়ে আনে বই, আরেকজন লুকিয়ে আনে শব্দ, একজন ধরা পড়ে, আরেকজন
কৃষ্ণচূড়া নেই বসন্ত এসেছে, ধুলোবালি মেখে রঙিন হয়ে উঠেছে পৃথিবী। আমার উঠোনে কোকিলের ডাক, আম্রকুঞ্জের মিষ্টি গন্ধ, বাতাসে উড়ে আসা
শব্দহীন সংলাপ ভেবেছিলাম তোমাকে নিয়ে উপন্যাস লিখবো— পাতায় পাতায় সাজিয়ে তুলবো আমাদের সমস্ত সংলাপ, তোমার বলা-না-বলা কথা, আমার শোনা-না-শোনা প্রতিধ্বনি।
শব্দের বিষ এই সংসারে মানুষই একমাত্র প্রাণী, যার বিষ লুকিয়ে থাকে শুধু দাঁতে নয়, তার শব্দেও, তার কণ্ঠেও, তার ভাষাতেও।
ভালো লাগা ভালবাসা ভালো লাগা ভালবাসা কোনো অন্যায় নয়। এই পৃথিবীর প্রতিটি মুহূর্তে, প্রতিটি শ্বাসে কেউ না কেউ কাউকে ভালোবাসে, কারও
আকাশ ও গোধূলি তুমি বরং আকাশ হও, বিস্তৃত, অবিনশ্বর। যেখানে মেঘেরা মুক্তির আনন্দে উড়ে বেড়াবে, আলো-আঁধারির খেলা করবে। রৌদ্রস্নাত দুপুরে
পাহাড় ও সমুদ্রের আত্মাকথা আমি দাঁড়িয়ে থাকি পাহাড়ের চূড়ায়, নিরবতার গভীরে শোনার চেষ্টা করি— পাথরের বুকের গভীরে কীসের কান্না? কোনও
নীরবতার শাস্তি আমি কিছু লিখলেই, তারা চুপ। একটা লাইক, একটা কমেন্ট? সেটাও যেন রাজ্যের খাজনা, দিতে কুণ্ঠা, দিতে দ্বিধা, মনে
হার-জিতের খেলা জীবন হেরে যায় মৃত্যুর কাছে, শ্বাস থেমে যায়, পথ থেমে আছে। স্বপ্নরা থেমে যায় নিঃশব্দ রাতে, সময় দাঁড়িয়ে
সংগীত ও বাদ্যযন্ত্র সংগীত জন্ম নেয় মনের গভীরতম অনুভূতি থেকে, আর বাদ্যযন্ত্র তার ভাষা হয়ে ওঠে। তারা যেন একে অপরের
রঙের ভাষা, হৃদয়ের ক্যানভাস আমি একজন চিত্রশিল্পী। আমার হাতের তুলিতে কখনো ফুটে ওঠে উজ্জ্বল দিনের আলো, কখনো অন্ধকার রাতের নির্জনতা।
পরাধীনতার ডিম কাকের বাসায় কোকিলের ডিম— এক নীরব প্রতারণা, এক নিঃশব্দ ছলনা। কাক ভাবে, এ তারই সন্তান, মমতার পালকে মুড়ে
শব্দ আমার আত্মা আমি এক বাচিক শিল্পী, শব্দ আমার অস্তিত্ব, ধ্বনি আমার সুর। আমি গড়ে তুলি অনুভূতির মঞ্চ, যেখানে বর্ণগুলো
রাজার মতো যে রাজার মতো ভাবে, তার হাত কখনো শূন্য থাকে না। সময় যতই ছোবল দিক, তার মুকুট আলোয় ভরে
কারোর আসার কথা ছিল না কারোর আসার কথা ছিল না, কেউ আসেনি, তবু দরজার ওপাশে শুনি অকারণ হাওয়ার শব্দ, একটা
দিশাহীনতার ঠিকানা এ-ই তো আর কিছুক্ষণ, ওহে দিশেহারা মন! সময় কি কখনও অপেক্ষা করে? নদীর মতন বয়ে যায়, ক্ষয় হতে
আমি সাধারণ আমি চাই না আলোটাকে নিজের দিকে টানতে, চাই না কেউ আমায় দেখে বিস্ময়ে থমকে যাক। আমি কেবল ছায়া
মূল্যহীন কলম যতই সোনার খাপ পরুক, রত্নখচিত মোড়কে সাজুক, যদি তার ভিতরে কালি না থাকে, তবে সে মূল্যহীন। সে কোনো
ফুল কোনো কারণ ছাড়াই ফুল আমার ভীষণ প্রিয়। হয়তো সে নিঃশব্দে হাসে, হয়তো তার সৌরভের ভাষা আছে, যা আমার মতো
অনাসক্ততার রঙ কাজ করো, হৃদয়ে আলো জ্বেলে, কিন্তু আকাঙ্ক্ষার শেকলে বাঁধা পড়ো না। স্রোতের টানে ভেসে চলো, কিন্তু জলকে মুঠোবন্দি
না থেকেও কেউ কেউ থেকে যায় না থেকেও কেউ কেউ থেকে যায়। অভিমানে জমে থাকা একাকীত্বের মতো, অপ্রকাশিত চিঠির ভাঁজে
নাবালক মন মানুষের মধ্যে যে নাবালক অংশটি আছে, আমি তাকে অন্তরের সহিত ধন্যবাদ দিই। সে-ই তো এখনও বিস্ময়ে চেয়ে থাকে
ন্যাড়া দুই বার বেলতলায় যায় না কিন্তু আমি যাই। বারবার যাই। গাছের তলায় দাঁড়িয়ে বাতাসের সঙ্গী হই। হাত বাড়িয়ে ধরতে
আমি কিছুই হতে চাইনি আমি আলো হতে চাইনি, কারণ আলোয় থাকে প্রতিফলন, সেই প্রতিফলন মিথ্যে রঙে ঢেকে দেয় আসল আমি।
নোটিফিকেশনের রাত মিস করলে যদি নোটিফিকেশন যেতো, তাহলে রাত জাগা পাখিরা আরেকটু কম নিঃসঙ্গ হতো। আমার প্রতিটি শ্বাসের শব্দে তোমার
তুমি আমার এক অন্যরকম প্রেমের উপন্যাস তুমি আমার এক অন্যরকম প্রেমের উপন্যাস — যে উপন্যাসের কোনো শেষ পাতা নেই তুমি
কল্পনার চেয়ে সুন্দর কল্পনার চেয়ে সুন্দর কোনো দৃশ্য নেই, সেখানে গাছেরা কথা বলে, নদী গান গায়, হাওয়া ছুঁয়ে যায় নরম
অপেক্ষার চেয়ার সবুজ অরণ্যের গভীরে, যেখানে আলো আর ছায়ার খেলা চলে নিরবধি, সেখানে একা দাঁড়িয়ে আছে একটি চেয়ার। কাঠের গায়ে
অতীতের ছোবল অতীত যখন ছোবল মারে, সাজায় স্মৃতির সারি, হৃদয় তখন ক্লান্ত ভীষণ, হৃদপিন্ড হয় ভারী। ছায়ার মতো ভেসে আসে,